বাবুর ঝলো মাসী হল আমার ঠাকুরমার বোন।
তার এক নাতনী হল ইতি দি। অনেক ছোট থাকতে একবার ইতি দিদিদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন মনে হয় কোন একটা মেলা চলছিল। আমাকে একটা মাটির নৌকা কিনে দিয়েছিল যা কিনা দিদিদের বাড়িতেই ভেঙ্গে ফেলেছিলাম।
চিত্র কাকা মনে হয় ভোকেশনালে পড়তেন। একবার তার সাথে তার কলেজে গিয়েছিলাম।
চিত্র কাকার বাবা হুঁকা টানতেন । অস্থির জিনিস। আমার জীবনে যে দু-একজনকে হুঁকা টানতে দেখেছি তার মাঝে তিনি একজন। তিনি মারা যাওয়ার পর শ্রাদ্ধের সময় গিয়েছিলাম । সেসময় ইলিশ রান্না হয়েছিল। কেন জানি সেদিন খাইনি। অনেক কান্নাকাটি ও ঝামেলা করেছিলাম। পরে মেজদাদুর গাড়িতে করে বাজারে গিয়ে খানা-দানা করে এসেছিলাম।
একবার শেফালী পিসিদের বাড়ি গিয়েছিলাম ঠাকুরমার সাথে। যতদিন ছিলাম, ভালই ছিলাম। আসার দিন বাঁধল ঝামেলা। পিসির সাথে কি নিয়ে যেন ঝগড়া হয়ে গেল।
তারপর নীলি পিসির মেয়ের অন্নপ্রাশনেও তো গেলাম ব্যবিটাক্সি চেপে।
এই পরিবার নিয়ে এত লেখা কারন ইতি দিদি আর নীলি পিসিরা ভারতবাসী হয়েছেন। তাদের সাথে কবে দেখা হবে কে জানে।
চিত্র কাকা আছেন। যে কাউকে বিপদে আপদে সাহায্য করার জন্য আছেন।